ছোট বেলায় রিচার্ড ব্র্যান্সন আকাশের দিকে তাকিয়ে আকাশ জয়ের চিন্তা করেছিলেন। সত্যিই যে আকাশ জয়ে আগ্রহী, তার জন্য ২০ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন ভার্জিন গ্যালাক্টিক। সে তার আজীবনের স্বপ্ন স্পেস ট্রাভেল কিছুক্ষণ আগে পূরণ করেছে। যা নতুন একটা যুগের সূচনা করল, সাধারণ মানুষ হিসেবে স্পেস ট্রাভেল করার যুগ।
তিনি স্পেসে গিয়ে একটা ভিডিও মেসেজ পাঠিয়েছেঃ
এক সময় সেও ছোট ছিল। আকাশের দিকে তাকিয়ে স্বপ্ন দেখত। এখন বড় হয়েছে। তার সাথে আরো দারুণ কিছু মানুষ রয়েছে যারা মহাকাশ থেকে আমাদের সুন্দর পৃথিবীটা দেখছে। তারা যদি এখন মহাকাশে যেতে পারে, আজকের ড্রিমাররা কি করতে পারে, ভেবে দেখছেন? তারা হয়তো নিকটস্থ গ্রহ গুলোও ঘুরে আসবে।
কার না ইচ্ছে করে উড়তে? বিমান দেখলে উড়ার কি অদম্য ইচ্ছে হত। আকাশের দিকে তাকালে জানতে ইচ্ছে করে ঐ আকাশে কি আছে। রিচার্ড ব্রান্সন তার ঐ ইচ্ছে পূরণ করেছে। যা সামনে সাধারণ মানুষের ইচ্ছে পূরণ করতেও সাহায্য করবে।
এই মাসের ২০ তারিখ জেফ বেজোসও স্পেসে টুর দিয়ে আসবে। উনি স্পেসে যাবে নিজ কোম্পানির ব্লু অরিজিনের শেপার্ড রকেটে করে।
দুই কোম্পানির স্পেসশিপ দুইরকমের। ব্লু অরিজিনেরটা রকেটের মত আর ভার্জিন গ্যালাক্টিকেরটা হচ্ছে জেটের মত। দুইটার ল্যান্ডিংও দুই রকম। ব্লু অরিজিনেরটা ল্যান্ড করতে প্যারাসুট লাগবে, যেটা আসলে একটা ক্যাপসুলের মত। আর ভার্জিন গ্যালাক্টিকেরটা জেট ল্যান্ডিং এর মত। আরো অনেক গুলো পার্থক্য রয়েছে। সব পার্থক্য কে ছেড়ে গেছে যে রিচার্ড ব্রান্সনই প্রথম হতে পেরেছে।
এই ফ্লাইট ঐতিহাসিক ফ্লাইট হিসেবে ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নিল। নিকট ভবিষ্যৎ এ যে কেউ একজন এস্ট্রনাট হতে পারবে। যে কেউ চাইলেই মহাকাশ ঘুরে আসতে পারবে। যদিও এখন প্রচুর পরিমাণ টাকা লাগবে। হয়তো খুব শীঘ্রই আমার আপনার মত মানুষও স্পেসে যেতে পারবে। কারণ? মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় 🙂
এই স্পেস ট্যুরের হাইলাইটঃ
ফুল ফ্লাইটের লাইভ রেকর্ডেড ভিডিওঃ
নাইস পোস্ট