ভেতর আর বাহির

বাসে উঠলে কোন সিট খালি থাকলে যদি দুইজন দাঁড়ানো থাকে, বাসের স্টাফ তাকেই খালি সিটে নিয়ে বসায়, যার আউটফিট সুন্দর। যে দেখতে সুন্দর, টিকেটের লাইন বা অন্য যেকোন লাইনই সে ভঙ্গ করতে পারে। কেউ কিছু বলে না। আউটফিট একটু খারাপ হলে কোন রুল ভঙ্গ না করালেও কোন না কোন ভুল হয়ে যায়। চারপাশের মানুষ গুলো কেমন জানি অদ্ভুত চোখে তাকায়।
+
সামনের মানুষটি আপনাকে চিনে অল্প কিছুক্ষণের জন্য। ৫ মিনিট, দশ মিনিট, এক ঘণ্টা বা এক দিনের জন্য। আপনি নিজেকে চিনেন আপনার জ্ঞান হওয়ার পর থেকে। আপনি চিনেন আপনার ভেতরের মানুষটাকে।

আমাদের চেহারা কেমন হবে, আমাদের হাতে নেই। কিন্তু আমরা নিজেরা কেমন হব, তা আমাদের হাতে। উপরের আমি নই, ভেতরের আমি কেমন তাই গুরুত্বপূর্ণ। আর ভেতরের রূপটাকে নিজ হাতে গড়তে হয়। নিজের মত করে গড়ে নেওয়া যায়।

আপনার উপরের রূপটাকে দেখে অনেকেই দূরে সরিয়ে দিবে। অদ্ভুত চোখে তাকাবে। অল্প দুই একজন মানুষ পাবেন, যে আপনার ভেতরের মানুষটাকে বুঝতে পারবে। তারাই মানুষ। প্রকৃত মানুষ। সবার সাথে না মিশে ঐ রকম দুই একজন মানুষের সাথে মেশা ভাগ্যের ব্যাপার। জীবনের প্রকৃত মানে তারাই বুঝতে সাহায্য করবে। সাহায্য করবে জীবনটাকে উপভোগ করতে।

3 thoughts on “ভেতর আর বাহির”

  1. অনেক ভালো লাগল ভাই। এই রকম মানুষ পাওয়া খুবই কঠিন। কিন্তু এইভাবে থেমে থাকলে চলবে না। জীবন কে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে ধন্যবাদ ভাইয়া

    Reply

Leave a Reply