ইভানের পাশের সিটে একটি মেয়ে বসে পড়ল। ইভান বিরক্ত হলো। অভদ্রের মত কিভাবে বসে পড়ল, জিজ্ঞেস করা ছাড়াই। মেয়েটির দিকে তাকালো। অসম্ভব সুন্দর একটা মেয়ে। সুন্দর বলেই ইভান ক্ষমা করে দিল। সুন্দর মেয়েদের উপর রাগ করে থাকতে নেই। জিজ্ঞেস করল, নতুন?
মেয়েটি বলল, নাহ! আজ গাড়ি আসবে না বলেই বাসে যেতে হচ্ছে।
কোন ফ্যাকাল্টি?
– সাইকোলজি।
অনেক সুন্দর।
– কি সুন্দর?
আপনি।
– প্রেম করবেন?
রাজি থাকলে বিয়েও করতে পারি? আপনার ফ্যামিলি রাজি না থাকলে পালিয়ে যাবো।
– পালিয়ে কোথায় যাবেন?
হয়তো সেন্ট মার্টিন। অসম্ভব সুন্দর একটি জায়গা। ঐ সুন্দর জায়গাতে পূর্ণিমাতে দুই দুইটা চাঁদ দেখার সুযোগ হবে।
– দুইটি কিভাবে?
একটি আকাশে, আরেকটি পাশে।
– ও আচ্ছা আচ্ছা। আর?
ঐ খানে অনেক গুলো ছোট ছোট দ্বীপ রয়েছে। একটাতে বাড়ি তৈরি করে আলাদা একটা স্বাধীন দেশের ঘোষণা দিব। যেখানে আমি রাজা, তুমি রানী।
– দারুণ তো! কোন প্রজা থাকবে না?
প্রজা লাগবে না। অনেক গুলো বাচ্চা কাচ্চা লাগবে।
– তাই? দারুণ প্ল্যান। যার সাথে এত সুন্দর প্ল্যান করছি, তার নামই জানা হলো না। কি নাম আপনার?
ইভান। আপনার?
– আমি হৃদি। আমার স্টপেজ এসে গেছে। আমাকে নামতে হবে।
হৃদি নামার আগে তার ব্যাগ থেকে একটা কার্ড বের করল। এরপর ঐখানে ইভানের নাম লিখে ইভানের হাতে দিল। বলল আগামী শুক্রবার আমার বিয়ে। আপনি অবশ্যই আসবেন। এটি বলে সদ্য তৈরি করা ইভানের সকল প্ল্যান নষ্ট করে দিয়ে বাস থেকে নেমে গেলো।
ইভান মনে মনে ভাবল, সুন্দরীদের নিয়ে কোন প্ল্যান করতে নেই।
চরম মজা পাইছি.
হিট খেয়ে গেলাম…আহ্