অনিক একজন ব্লগার। সে কিছু তথ্যের জন্য একজন বিশিষ্ট রিসার্সার এর কাছে যায়, একটা আর্টিকেল লিখতে তার ওই তথ্য গুলো দরকার। ঐ রিসার্সার এর কাছ থেকে কিছু সময় চাচ্ছে। রিসার্সার বলে তুমি লেখক নও। তুমি সাংবাদিক নও। সে বলে, আমি লেখক। ঐ রিসার্সার বলে ব্লগিং লেখা লেখি নয়। সে বলে, আমি একজন সাংবাদিক… সংবাদ সংগ্রহ করে তা ব্লগে লিখি। রিসার্সার বলে আমার হাতে এখন সময় নেই, এখনি যেতে হবে আমাকে। এ বলে অনিক কে এড়িয়ে যায়।
অনিকের খারাপ লাগলেও গায়ে মাখে না। সে তার ব্লগে লিখে যায়। এর ও অনেক দিন পর একজন ব্যবসায়ীর কাছে যায়। তার সম্পর্কে একটা ফিচার লিখবে। তরুণ প্রজন্মের জন্য। তরুণরা যেন ঐ ব্যবসায়ী সম্পর্কে জেনে তার মত বড় কিছু হতে পারে, তার জন্য। দূর্ভাগ্যক্রমে ঐ ব্যবসায়ীও অনিককে কোন সময় দেয় নি।
এভাবে অনেক জায়গা থেকেই তাকে ফিরিয়ে দিয়েছে। তা ২০০৮ সালের দিকের কথা। তখন সে বুঝতে পেরেছে পত্রিকা থেকেও একদিন অনলাইন মাধ্যম অনেক বেশি শক্তিশালী হবে। তার ভেতর থেকে কেউ একজন বলেছিল, তাই বার বার সবাই তাকে ফিরিয়ে দিলেও সে পিছিয়ে আসে নি। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তার লেখা অব্যাহত রেখেছে, তার ব্লগে।
তখন ইন্টারনেট এক্সেস সবার না থাকলেও এখন প্রায় সবার ইন্টারনেট এক্সেস রয়েছে। নিজ নিজ স্মার্টফোন, ল্যাপটপ বা পিসি থেকে এখন সবাই পত্রিকা থেকে অনলাইনেই পড়তে বেশি পছন্দ করে। অনিকের ব্লগ আস্তে আস্তে জনপ্রিয়তা পেতে থাকে। নিয়মিত লক্ষ মানুষ তার সাইট ভিজিট করে। কয়েক মিলিয়ন ফ্যান রয়েছে তার পেইজের। অনেক দ্রুত সে অনেক দরকারি তথ্য সবার কাছে পৌঁছে দিতে পারে।
প্রথম দিকের দিন গুলো নিয়ে তার কোন অনুতাপ নেই। ঐ সময় গুলো তার কাছে উৎসাহ এর মত। ঐ স্মৃতি গুলো মনে পড়লে ভাবে এখনো অনেক কিছু করতে হবে। ঐ সব ভেবে সময় নষ্ট করার কোন মানে হয় না। অনেক দূর যেতে হবে তাকে, তার ব্লগ নিয়ে।