বিল্লাহ মামুন ভাই অনেক দিন আগে ধুপপানি ঝর্ণা এবং মপ্পোছড়াঝর্ণা ভ্রমণের ইভেন্টে দাওয়াত দিয়েছিল। অনেক দিন আগে হওয়াতে আমি তখন বুঝতে পারিনি যেতে পারব কি পারব না।
দূর্গাপূজা এবং আশুরার দুইদিন বন্ধ। এক সপ্তাহ আগে সাইফুল আর সুহৃদ বলে চল, এই বন্ধে কোথাও ঘুরতে যাই। সাইফুলকে বলি যাবো যদি সব খরচ তুমি দাও। সাইফুল বলল দিব। আমরা ট্যুর প্ল্যান করি। কোথাও যাওয়া যায় তা নিয়ে চিন্তা করি। সুহৃদ বলে সিলেটের হামহাম ঝর্ণা দেখতে যাবে। মামুন ভাই আমাকে ধুপপানি ঝর্ণা এবং মম্পছড়া ঝর্ণা ঘুরতে যাওয়ার ইভেন্টে দাওয়াত দিয়েছিল, তা মনে আছে। আমি সুহৃদ আর সাইফুলকে বলি চলো, মামুন ভাইদের সাথে যাই। তারা রাজি হয়।
মামুন ভাইকে মেসেজ দেই, আমরা তিনজন যাবো আপনাদের সাথে। মানুন ভাই বলে, জাকির তুমি এবার ও লেট। কারণ এর আগে মামুন ভাইয়েরা টাঙ্গুরের হাওয়ার যাওয়ার দুই এক দিন আগে আমি জানিয়েছিলাম আমিও যাবো। টিকেট আর ক্যপাসিটি পূর্ণ হওয়াতে যেতে পারি নি। এবার ও নাকি দেরি করে ফেলছি। তারপরও উনি জানালো, যদি টিকেট ম্যানেজ করতে পারে, আমাকে জানাবে। রাতে জানালো টিকেট ম্যানেজ হয়নি।
সাইফুল ঢাকা থেকে চট্রগ্রামের টিকেট কেটে নিল সহজের মাধ্যমে। মামুন ভাইকে জানিয়ে দিল আমরাও যুক্ত হব উনাদের সাথে। আমাদের প্ল্যান হচ্ছে প্রথমে ঢাকা থেকে চট্রগ্রাম যাওয়া। চট্রগ্রাম থেকে এরপর লোকাল বাস বা CNG করে কাপ্তাই যাওয়া।
সোমবার রাতে আমরা রওনা দিয়েছি চট্রগ্রামের উদ্দেশ্যে। গাবতলি থেকে বাস। হানিফ পরিবহন। সাড়ে দশটায় ছাড়ার কথা লেখা ছিল। আমরা দশটার দিকেই গাবতলি পৌঁছিয়েছি। বাসে উঠেছি সময় মত। গাবতলি থেকে সায়দাবাদ এরপর যাত্রাবাড়ি পার হতেই রাত একটা বেজে গেলো। রাস্তায় অনেক জ্যাম ছিল। চট্রগ্রাম আমাদের নামিয়ে দিয়েছে সকাল সাড়ে সাতটার দিকে। এরপর আমরা CNG করে কাপ্তাই দিকে আসার একটা স্টেশনে এসেছি, কাপ্তাই মোড় বা এমন কিছু। এখানে এসে অন্য আরেকটা CNG তে উঠেছি কাপ্তাই আসার জন্য।
মামুন ভাইয়েরা তখনো বাসে। আমরা নয়টা ১৫ এর দিকে কাপ্তাই পৌঁছিয়েছি। আমরা পৌঁছানোর কিছুক্ষণ আগে উনারা এসে পৌঁছিয়েছে। সবার কাপ্তাই পৌঁছানোর কথা ছিল ৬টার মধ্যে। কিন্তু জ্যামের কারণে সবারই দেরি হয়েছে। মামুন ভাইয়েরা বিশাল দল নিয়ে এসেছে। আমরা প্রায় ২০ জনের একটা দলে পরিণত হলাম।
কাপ্তাই এসে সকালের নাস্তা খেয়ে নিলাম আমরা। এরপর ট্রলারে উঠেছি। কাপ্তাই লেক এর মধ্যে দিয়ে বিলাইছড়ি আসব। লেকের পানি গুলো কি শান্ত, সুন্দর। ছোট ছোট পাহাড়ের মাঝে লেক। দারুণ লাগছিল। বিলাইছড়ি আসার পথে গাছকাটা চর আর্মি ক্যাম্পে আমাদের থামতে হলো। এখানে আমাদের ট্রলারের নাম্বার, আইডিকার্ড চেক করল। এরপর আমাদের নাম লিখে আমাদের বিলাইছড়ি আসার অনুমতি দিল।
কাপ্তাই লেকের মাঝে মাঝে টিলা। টিলার চারপাশে পানি। টিলা গুলোতে মানুষ থাকার ঘর রয়েছে। রয়েছে বর্ডার গার্ড এবং আর্মিদের ক্যাম্প।
বিলাইছড়ি আসতে আমাদের প্রায় আড়াই ঘণ্টার মত লেগেছে। পুরা পথ ট্রলারে করে এসেছি। আকাশে হালকা মেঘ থাকায় রোদ লাগেনি আমাদের তেমন। ট্রলারের ছাদে বসে চারপাশ দেখতে দেখতে এসেছি।
বিলাইছড়িতে নিরিবিলি নামে একটা বোর্ডিং রয়েছে। এখানে আমরা আমাদের ব্যাগ রেখে জামাকাপড় পরিবর্তন করে ট্র্যাকিং এর জন্য প্রস্তুতি নিলাম। আমরা মম্পছড়া ঝর্ণা দেখতে যাবো। ঝর্ণা দেখতে যেতে হলে প্রায় দুই ঘণ্টার মত ট্র্যাকিং করতে হবে। আর পথে জোঁক ধরতে পারে। জোঁক যেন না ধরে, তাই কেউ কেউ বিশাল মোঝা এবং প্যাড পরে নিল।
ট্রলারে করে আমাদে এক জায়গায় নামিয়ে দিল, যেখান থেকে ট্র্যাকিং শুরু করতে হবে। আমরা ট্র্যাকিং শুরু করলাম। আমরা ছাড়াও আরো কয়েকটা দল দেখলাম। উনারাও মপ্পছড়া ঝর্ণা দেখতে যাবে। অনেক মানুষ হওয়াতে কে কার দলে, তার কোন ঠিক থাকল না। মপ্পছড়া দুই ভাবে যাওয়া যায়। পাহাড়ের নিচ দিয়ে এবং উপর দিয়ে। আমি একটা দলের সাথে উপরের দিকে উঠে গেলাম। পরে দেখি আমাদের দলের বাকিরা নিচ দিয়ে যাচ্ছে। নিচে আর নামতে ইচ্ছে করে নি। উপর দিয়ে যারা যাচ্ছিল, তাদের সাথে হাঁটতে লাগলাম। এভাবে পাহাড়ের মাঝে, ঝর্ণার পানি পড়ার পথ ধরে প্রায় দুই ঘণ্টা হাঁটার পর মপ্পছড়া ঝর্ণা দেখতে পেলাম।
যাওয়ার পথ দারুণ ছিল। একটু উচু নিচু। আর বাকি অংশ হচ্ছে ঝর্ণার পানি নামার পথ। ঐ পথ ধরে হাটলেই মপ্পছড়া ঝর্ণা।
ভেবেছি ছোটখাটো একটা ঝর্ণা হবে। কিন্তু গিয়ে দেখি বিশাল একটা ঝর্ণা। আমি অন্য দলের সাথে চলে এসেছি। আমাদের দল এখনো পৌঁছায় নি। তারপর ও ঝর্ণার এখানে অনেক পর্যটক। অনেক মানুষ ঘুরত এসেছে। সবাই ভিজছিল ঝর্ণার পানিতে। ঝর্ণার কাছে গিয়ে আর দাঁড়িয়ে থাকতে ইচ্ছে করল না। আমিও ঝর্ণার পানিতে ভিজতে গেলাম। পাহাড় বেঁয়ে একটু উপড়ে উঠলাম। যেখানে পানি গুলো সরাসরি পড়ে। এরপর ভিজলাম ইচ্ছে মত।
শেষ দিকে আমি দেখি একটা পলেথিনের ভেতর একটা মানিব্যাগ আর একটা মোবাইল ঝর্ণার পানিতে ভাসছে। উঠিয়ে নিলাম। পাশের কারো না। মোবাইলটা অন করলাম যেন কল করতে পারে। যার মানিব্যাগ হারিয়েছে, জানতে পেরে পরে আমাদের থেকে মানিব্যাগ এবং মোবাইলটা নিল।
অনেকক্ষণ ঝর্ণার পানিতে ভেজার পর আমরা ফেরার পথ ধরলাম। বিকেল না হতেই সব কিছু অন্ধকার হয়ে উঠল। একটু একটু বৃষ্টিও পড়া শুরু করল। বৃষ্টি হওয়ার কারণে রাস্তা গুলো অনেক পিচ্ছিল হয়ে উঠল। আমাদের হাঁটতে অনেক কষ্ট হচ্ছিল। মাঝে মাঝে এমন জায়গা দিয়ে হাঁটতে হয়, যে একটু পিচ্ছিল কেটে পড়লেই অনেক নিচে পড়ে যাবে। বেঁচে থাকার সম্ভবনা থাকবে না।
ঝর্ণা দেখে বিলাইছড়ি ফিরে আসতে আসতে সন্ধ্যা হয়ে গেলো। আমরা ফ্রেস হয়ে খাবার খেয়ে নিলাম। ঐটা না দুপরের খাবার, না রাতের খাবার। এত ভেতর ঘুরতে এসে ভালো খাবার খোঁজা অন্যায়ের মত। আইর মাছ, আলু ভর্তা, ডাল, মুরগি ইত্যাদি আইটেম ছিল। খেতে ভালোই লেগেছে।
এত বেশি টায়ার্ড ছিলাম বলার মত না। খাবার খেয়েই রুমে এসে শুয়ে পড়লাম। পরের দিন খুব ভোরে আবার বের হতে হবে। রাত এগারোটার দিকে একবার জাগলাম। তখন শুনি আমাদের জন্য খিচুড়ি রান্না করা হয়েছে। খেতে ডাকছে আমাদের। খিচুড়ি খেতে গিয়ে দেখি শেষ হয়ে গেলো। দেরি করে যাওয়ার কারণে। পরে আমরা কয়েক জন আবার অল্প করে ভাত খেয়ে নিলাম।
রাতে কেউ কার্ড খেলেছে। কেউ বসে বসে গল্প করেছে। এক সময় ঘুমিয়ে পড়েছে। আমরা পাঁচজন এক খাটে ঘুমাতে হয়েছে। বোর্ডিং এ আমাদের যত গুলো রুম বুক করা হয়েছে, তত গুলো দিতে পারে নি। কারণ অনেক পর্যটক গিয়েছে বিলাইছড়ি। পরে বোর্ডিং এর মালিকের একটা রুম ছেড়ে দিয়েছে আমাদের। আমরা পাঁচজন ছিলাম ঐখানে।
সকালে জেগেছি আমরা সাড়ে চারটার দিকে। ৫টার মধ্যে ট্রলার ছেড়ে দিবে। ব্যাকপ্যাক নিয়েই বের হতে হবে। আমরা আর বিলাইছড়ি ফিরব না। তাই সবার ব্যাগ গুছিয়ে নিতে একটু সময় লেগে গেলো। সাড়ে পাঁচটার দিকে আমরা বের হয়েছি ধুপপানি ঝর্ণা দেখতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে।
ধুপপানি ঝর্ণা যাওয়ার জন্য প্রথমে আমরা ট্রলারে করে একটা গ্রামে গেলাম। সেখানে বড় ট্রলারটা থেকে ছোট আর ছোট আরেকটা ট্রলারে উঠলাম। কারণ বড় ট্রলার গুলো দিয়ে ভেতরে যাওয়া যাবে না, তাই। আমাদের ব্যাগ বড় ট্রলারটিতে রেখে গেলাম। ছোট ট্রলারে করে একটা জায়গায় নামিয়ে দিল আমাদের। এরপর ট্র্যাকিং শুরু।
সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছিল। সব কিছু কাঁদা মাখামাখি। শুনলাম বৃষ্টি হলে নাকি জোঁক অনেক বেড়ে যায়। ভয়ে ভয়ে হাঁটি, কখন যে জোঁকে ধরে। কিছুক্ষণ পর পর পায়ের দিকে তাকাই।
প্রথম কিছুদূর ছিল সমতল। হাঁটতে কষ্ট হয় নি। এরপর শুরু হলো উঁচু নিচু জায়গায় হাঁটা। একবার পাহাড়ের উপড়ে উঠি। আবার পাহাড়ের নিচে নামি। পিচ্ছিল হয়ে রয়েছে সব কিছু। একটু অসতর্ক হলেই চিৎ হয়ে পড়তে হয়। মানুষ গুলো যেতে যেতে পথ তৈরি হয়ে রয়েছে। ঐ পথ ধরে হাঁটছি আমরা। আমাদের সাথে গাইড ও রয়েছে। প্রথমেই একটা বিশাল উঁচু রাস্তা পাড় হতে হলো। অনেক কষ্টে ঐটা পার হয়ে ভাবলাম এর পর আর একটু হাঁটলেই হয়তো ঝর্ণা দেখতে পাবো। অনেকক্ষণ হাঁটার পর মনে হলো, ঐটা আসলে শুরু ছিল। পুরো ট্রেইলটাই এমন দুর্গম।
বার বার ভাবতে লাগলাম, ঘুরার জন্য কক্সবাজার আর সেন্টমার্টিন বেস্ট! কোন কষ্ট নেই। নিজেকে এতদিন ট্রাভেলার ভাবতাম। ভাবতাম ট্রেকিং করা কোন ব্যপারই না। ধুপপানি যাওয়ার পথে টের পেলাম কষ্ট কাকে বলে। অনেকেই গিয়েছে, আমরাও পারব এই চিন্তা করে হাঁটতে লাগলাম।
ধুপপানি যাওয়ার ট্রেইল আমার দেখা সবচেয়ে দুর্গম ট্রেইল। প্রায় দেড় ঘণ্টা হাঁটার পর আমরা ধুপপানি গ্রামে পৌঁছিয়েছি। ধুপপানি গ্রামে পৌঁছানোর পর আমাদের জানানো হলো যে ধুপপানি ঝর্ণার ঐখানে এক সাধু ধ্যানে রয়েছে। আমরা যেন চিৎকার না করি। যদি উনার ধ্যান ভাঙ্গে, তাহলে গ্রামের ওদের ক্ষতি হবে।
ধুপপানি গ্রামটি পাহাড়ের উপরে। আমরা পাহাড়ের আবার নিচে নামতে হবে। ঐ নামার জায়গাটা অনেক খাড়া। আগে যত গুলো পথ পাড়ি দিয়ে এসেছি, সব গুলো থেকে ভয়ঙ্কর। ঝর্ণা দেখা যাচ্ছিল একটু একটু। এতদূর এসেছি, বাকিটুকুও পারব মনে করে নামা শুরু করলাম। পথ পিচ্ছিল হয়ে রয়েছে। আমি পা পিছলে পড়ে গেলাম। ব্যথা পাই নি যদিও। আরো সতর্ক ভাবে নামলাম বাকি পথ।
ঝর্ণা দেখে মন ভালো হয়ে গেলো। কষ্ট সার্থক। ঝর্ণাটি দেখতে অনেকটা গ্যাল্যারির মত। ঝর্ণার পানিতে গিয়ে ভিজলাম। ঝর্ণার পাশেই একটা ঢালুতে দেখলাম একটা সাপ। সবুজ রঙের। ঐটা নাকি পঙ্খিরাজ সাপ।
ঝর্ণাটিতে যাওয়ার পথ এত দুর্গম, তারপর ও অনেকেই দেখতে এসেছে। আমরা ঝর্ণার পানিতে গোসল করলাম। ছবি তুললাম। তখনো বৃষ্টি হচ্ছিল। এরপর আস্তে আস্তে ফেরা শুরু করলাম।
ঝর্ণা থেকে পাহাড়ের উপরে একটা দোকান রয়েছে। ধুপপানি গ্রামে। ফেরার পথে ঐখানে বসে চা বিস্কিট খেয়ে নিলাম। সকাল থেকেই আমরা বিস্কিট খেয়ে রয়েছি। আশে পাশে খাবারের কোন ব্যবস্থা নেই। বৃষ্টির পানি এবং ঝর্ণার পানিতে ভেজার কারণে একটু ঠান্ডা লাগছিল। সহযাত্রী এক ভাই এর রেইন কোট পরে হাঁটা শুরু করলাম। যাওয়ার সময় যত কষ্ট লেগেছিল, ফিরতে এত কষ্ট লাগে নি।
জোঁকের ভয় ছিল অনেক। অনেক সতর্ক ছিলাম। পায়ের দিকে মশা কামড়ের মত করে একটু ব্যথা করে উঠল। তাকিয়ে দেখি একটা ছোট্ট জোঁক। অনেক ছোট্ট। জোঁক নাকি রক্ত খেলে বড় হয়ে উঠে। অর্থাৎ এই বেটা আমার রক্ত এখনো খেতে পারে নি। নিজ হাত দিয়েই ঐটাকে পেলে দিত হলো।
আমরা দুইটার দিকে ট্রলারে ফিরে এসেছি। ট্রলারে ফিরে ফ্রেস হলাম। লাঞ্চ হিসেবে আবার বিস্কিট। এরপর রওনা দিলাম কাপ্তাই এর উদ্দেশ্যে। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। ট্রলারের ভেতর একটু ঘুমিয়ে নিলাম। উঠে দেখি কোন বৃষ্টি নেই। চারদিকে সবুজের মাঝে লেক। লেকের মধ্য দিয়ে আমরা ভেসে ভেসে যাচ্ছি। ভালোই লাগছিল। কাপ্তাই পৌঁছিয়েছি ৫টার দিকে।
কাপ্তাই এসে আমরা খাবার খেলাম। এরপর যে যার পথে চলে গেলো। কেউ যাবে রাঙ্গামাটি, আরো ঘুরাঘুরি করবে। কেউ যাবে চট্রগ্রাম, কেউ কুমিল্লা। আমরা ৯ জন ঢাকা ফিরব। মানুন ভাই এস আলমের টিকেট কেটে দিল। রাত ৮টা ১৫ তে বাস। বাংলাদেশ এবং ইংল্যান্ডের খেলা হচ্ছিল। বাকি সময় আমরা খেলা দেখছি বসে বসে। কেমন খরচ হয়েছে, জানতে চাইলে বলি। অনেক কম। জন প্রতি ৩০০০ টাকা করে মাত্র। এক সাথে সবাই যাওয়াতে এত কম খরচ হয়েছে। মানুষ কম হলে খরচের পরিমান বাড়তে পারে।
ট্যুরের শুরুতে মানুন ভাই রাজু ভাই ছাড়া আর কাউকে চিনতাম না। এক সাথে ঘুরতে ঘুরতে অনেকের সাথেই পরিচয় হলো। আসাদ, শিশির, হাসান, সোহান, তাপস, সুমন, জনি, আকিক, ইভান ভাই সহ আরো অনেক। আরেকটা সুন্দর ট্যুর দিয়ে সুস্থ ভাবে ফিরে এসেছি নিজ আঙ্গিনায়।
দুই ঘন্টায় মুপ্পাছড়া একটা গাজাখুড়ি গল্প