আমরা যারা ফেল করি

দশ হাজার কোটি নিউরন রয়েছে আমাদের। সে গুলো এক জনের জন্য এক ফিল্ডে বেশি ইফেক্টিভ হয়। এই জন্যই পৃথিবী এত ডাইভার্স। সাধারণ কোন কিছুতে খারাপ করা মানেই আমি খারাপ এমন নয়। বলা যায় আমি অসাধারণ।

আমাদের কারিকুলামটা তৈরি করা রয়েছে সবার কথা চিন্তা করে। জেনেরিক কারিকুলাম। এখানে খারাপ করার মানে এই নয় যে আমি খারাপ ছাত্র/ছাত্রী। এর মানে এই যে, আমি সাধারণ থেকে ভিন্ন। হয়তো স্পেশাল কেউ।

যারা সব সময় পাস করে, তারা পাস করার আনন্দ বুঝতে পারে? তাদের জন্য তো তা স্বাভাবিক হওয়ার কথা। যারা ফেল করতে করতে একবার পাস করে, পাশের আনন্দ তারাই সবচেয়ে বেশি বুঝতে পারে। কত আনন্দ।

আমরা যারা ফেল করি, তা নিয়ে আমরা নিজেদের মধ্যেই হিনমন্যতায় ভুগি। সাথে যুক্ত হয় পরিপাশ্ব্যের বাকা চোখ বা তিরষ্কার। তখন কেউ বুঝতে চায় না। অথচ তখন দরকার ছিল একটু খানি অনুপ্রেরণা, একটু খানি আশা… শান্তনা।

পড়ালেখায় একটু খারাপ করা, কোন একটা কাজ না করতে পারা মানে এই নয় যে আমার দ্বারা কিচ্ছু হবে না। আমি একটা বিষয়ে আগ্রহ পাই না মানে এই নয় যে আমি সব বিষয়ই এমন অনাগ্রহ দেখাবো। হয়তো এখনো আমি আমার পছন্দের বিষয় খুঁজে পাই নি। চারপাশের কোন কিছুই আমার মন কাড়তে পারে নি। এর মানে এই যে, আমাকে আরো কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে। দারুণ কিছু করার জন্য।

আমরা পরাজয়কে মেনে নিতে পারি না। একটুও না। পরাজয় আমাদেরও কষ্ট দেয়। আমরা শুধু একটু সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছি, ভালো কিছু তৈরি করার সুযোগ। বসে নেই, খুঁজে চলছি… পাবোই পাবো। কারণ পৃথিবী বদলে দেওয়া সেরা মানুষ গুলো আমাদের দলেই। বার বার হেরে গিয়ে যারা জয় করেছে এই বিশ্ব। এই মহাবিশ্ব।

5 thoughts on “আমরা যারা ফেল করি”

  1. আমিও বার বার পরাজিত হয় জীবন চলার পথে…তারপরও থেমে থাকি না।। বিশ্বাস করি আমিও একদিন নামকরা একজন প্রোগামার হবোই হবো।

    Reply
    • ভাই!!আমারও আকি অবস্থা!!!বার-বার পরাজিত হচ্ছি!!তবে আশা রাকছি!!!

Leave a Reply