হতাশা থেকে মুক্তি

ক্লাসের সবাই পড়ালেখায় ভালো, আমি কিছুই পারছি না বা আমি পিছিয়ে পড়ছি এমন অনেকেই ভাবে। আর ভেবে ভেবে হতাশায় ভুগে।

আমরা একটা মানুষের বাহিরের দিক দেখে মনে করি সে আমার থেকে অনেক অনেক এগিয়ে রয়েছে, আর আমি বুঝি পিছিয়ে পড়ছি। এভাবে ভাবার কারণে সত্যিকার অর্থেই পিছিয়ে পড়ছি। এভাবে না ভেবে যদি নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা করা যায়, তাহলে যে কোন কিছুই নিজের আয়ত্ত্বে আনা যায়। যে কোন কিছু! শুধু নিজের উপর বিশ্বাস রাখতে হয়। পিছিয়ে পড়লে উঠে দাঁড়াতে হয়। বার বার চেষ্টা করতে হয়।

ক্লাসের সেরা ছাত্র বা ছাত্রী থেকে পিছিয়ে পড়া একজনের দূরত্ব খুব একটা বেশি না। যারা ভালো করে, তারা প্রতিদিন প্র্যাকটিস করে। প্রতিদিন একটু একটু করে পড়ার চেষ্টা করে। কেউই সব কিছু জেনে পৃথিবীতে আসে নাই। সবাইকে জানতে হয়। কেউ যদি আপনার থেকে বেশি জানে, এর কারণ সে আপনার থেকে বেশি পড়েছে। কেউ যদি গণিতে ভালো, সে গণিত একটু বেশি প্র্যাকটিস করেছে। কেউ যদি ইংরেজীতে ভালো, সে হয়তো ভালো একজন শিক্ষক পেয়েছে এবং নিজে চেষ্টা করেছে। কেউ যদি প্রোগ্রামিং এ খুব ভালো, সে হয়তো রাত জেগে কালো স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে কি সব হিবিজিবি লিখে কাটিয়েছে। কেউই সব কিছু শিখে পৃথিবীতে আসে নাই। মনে হয় না আসবেও। সবাইকেই শিখতে হয়।

এখানে একটা পয়েন্ট! ভালো লাগা। কারো কারো হয়তো একটা বিষয় খুব ভালো লাগে। তাই হয়তো ঐটাতে সময় দেয়। কিন্তু আপনার যদি কোন কিছু ভালো না লাগে? কোন কিছু ভালো লাগতে হলে তার পেছনে কিছু সময় দিতে হয়। আপনি হয়তো ঐ সময়টুকুও দিতে পারেন নি।

ক্লাসের সবাই এগিয়ে যাচ্ছে ঐ দিকে নজর না দিয়ে নিজের দিকে তাকান। একটু একটু করে এগুলে অনেক দূর যাওয়া যাবে। যদি সবাই এগিয়ে যাচ্ছে চিন্তা করে বসে থাকেন, তাহলে এক জায়গায় আটকে থাকবেন।
আমি বিশ্বাস করি কারো যদি পর্যাপ্ত আগ্রহ থাকে, সে যে কোন কিছুতেই ভালো করতে পারে। আমি যদি ‘ঐটা’ করতাম তাহলে হয়তো আজ আমি আরো ভালো করতাম.. এরকম চিন্তা বাদ দিয়ে আপনি একজন যে অবস্থায় আছেন, সে অবস্থার উন্নতি করার চেষ্টা করুন। একটু একটু করে। বসে না থেকে কিছু একটা করার চেষ্টা করুন। যে কোন কিছু। জাস্ট বসে থেকে অন্যদের লাইফ ইভেন্টে লাইক না দিয়ে নিজেকে একটু একটু করে ইম্প্রুভ করার চেষ্টা করুন। iA একটু একটু করেই একদিন চারপাশের সবাইকে ছড়িয়ে যেতে পারবেন।

1 thought on “হতাশা থেকে মুক্তি”

Leave a Reply