রাত

জারাদের বাসায় আজ তার সব কাজিন এসেছে। সারাদিন সবাই মিলে দারুণ ফুর্তিতে কাটিয়েছে তারা। খাবার খাওয়ার কোন খবর ছিল না। রাতেও আড্ডা দিচ্ছিল সবাই মিলে। গল্প করছিল। কত যে গল্প জমে আছে। সারাদিন, সারারাত গল্প করলেও শেষ হবে না। গল্প করার মাঝ খানে কিছুক্ষণ পর পরই জারার আম্মু এসে খাবার খেতে ডেকে যায়। ওরা সবাই এক সাথে বলে উঠে আরেকটু পর… আরেকটু পর। ঐ আরেকটু পর আর আসে না।

মাঝ রাত হয়ে গেছে ইতিমধ্যে। অনেক বকে ঝকে খাবার টেবিলে আনল সবাইকে। খেতে বসেছে সবাই। এত শত রান্না। খাবারের দিকে মন না দিয়ে এখানেও গল্প করায় ব্যস্ত সবাই। একটু খাওয়ার পরই জারার ঢেঁকুর উঠেছে। কাঁশি শুরু হয়েছে তার। কাজিনরা তাকে পানি এগিয়ে দেওয়ার পরিবর্তে জিজ্ঞেস করে, কিরে কে তোকে মনে করছে এত রাতে? আরেকজন বলে, আমাদের তো কিছু জানালি না। তলে তলে জল খাওয়া হচ্ছে, তাই না?

জারা বলে পানি পানি…

খাওয়ার সময় কাউকে মনে করলে তার ঢেঁকুর উঠে, এটা কি কুসংস্কার? জারা জানে না। জানে না ইভান নামের ঐ ছেলেটিও। যে এত রাতে ঘুমানোর পরিবর্তে জারার কথা মনে করে তার ছবি আঁছে। দরজাটা আটকিয়ে। এত রাতে মা বাবা কেউই তার রুমে উঁকি দিবে না। তারপর ও। সতর্কতা। প্রথম প্রেম সম্পর্কে কাউকে জানাতে চায় না। কেউ জেনে ফেলুক, এটা চায় না। অনেক সতর্কতা অবলম্বন করে। দূর থেকেই কাউকে ভালোবেসে যাওয়া।

অনেক সুন্দর একটা ছবি আঁকার পর ছবির সাথে কথা বলা শুরু করেছে ইভান। ভাবছে সুন্দর ভাবে জারার সৌন্দর্য্য ফুটাতে পারে নি। অন্য সব গুলো ছবির মত এটাও ওয়ার্ড্রব এ নিয়ে লুকিয়ে রেখেছে। নতুন ভাবে শুরু করতে হবে। জারা নামের মেয়েটি জানতেও পারে নি একটি ছেলে তাকে ভেবে রাত পার করছে। রাত কাটাচ্ছে তার ছবি একে …

Leave a Reply