বই পড়া এবং আমার অভিমত – ইন্টারনেট নাকি বই?

বই পড়ে ভালো লাগে। অনেক ভালো। কেন যানি এখনও ইংরেজী বই গুলো পরে অভ্যস্থ হতে পারি নি। যে দিন হব সে দিন হয়তো আরো অনেক ভালো লাগবে। কারন আমি তখন সারা বিশ্বের সকল লেখকের বই ই পড়তে পারব। এখনও পড়তে পারি, অনুবাদ করা বই গুলো। ভালো লাগে। সেবা প্রকাশনি আমাদের জন্য যা করতে তা বলার বাহিরে। এত কম দামে ভালো ভালো বই!! বাংলাদেশে কত শত পাঠক তৈরি করেছে এই সেবা প্রকাশনী। দাম কম হওয়াতে কারো কারো পকেট খরচের টাকা দিয়েই বই কিনতে দেখেছি আমি। আমার এক মামাতো ভাই, ফয়ছাল এত বেশি এডিক্টেড ছিল যে খাওয়ার সময়, ঘুমানোর সময় এমন কি পড়ার মধ্যেও সবাইকে ফাকি দিয়ে বই পড়তো। তাই বলে কিন্তু তার পড়ালেখার কোন ক্ষতি হত না। ফলাফল ভালোই করত। আমি জানি না সে এখন আগের মত বই পড়ে কিনা। ঐ সময় আমি নিজে এত বেশি পড়তাম না। কিন্তু এখন সময় ফেলেই বই পড়তে ভালো লাগে।
কিছুদিন হল আমার কোন কিছুই ভালো লাগত না। আমার চার পাশে অনেক গুলো নতুন বই, কম্পিউটারে ডাউনলোড করা অনেক গুলো বই ছিল তার পর ও না। আমি মন ই বসাতে পারতাম না। এখন আবার ভালো লাগে। আসলে মন ভালো থাকলেই বই পড়তে ভালো লাগে। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে মন খারাপ থাকলে কিছু কিছু বই অনেক ভালো কাজ করে, মন ভালো হয়ে যায়।
আমার মনে হয় বই পড়া না পড়া দিয়ে মানুষের মন কে পরিমাপ করা যায়। কেউ যদি যে কোন সময় বই পড়তে পারে তাহলে তার মন অনেক ভালো, একদম তাজা। কেউ যদি বই পড়তে একটু গড়িমসি করে তাহলে বুঝতে হবে তার মনের কোথাও কোন সমস্যা রয়েছে। কেউ হয়তো তাকে কষ্ট দিয়েছে বা সে নিজে কাউকে কষ্ট দিয়ে এখন ভুগতেছে। আর কেউ যদি অনেক কষ্ট করে ও বই পড়ার দিকে মন না দিতে পারে তাহলে বুঝতে হবে সে বেঁচে থাকলেও তার মন মরে গেছে। হয়তো তার অনেক কাজ, কাজের চাপে সে কিছু করতে পারছে না ঠিক মত। নয়তো অনেক কষ্ট পাচ্ছে কোন কারনে। তার উচিত ব্রেক। সুন্দর একটি ট্রিপ। হয়তো তার মন আগের মত হতে পারে।।

আমরা সবাই আজ ইন্টারনেট এডিকটেড। বই পড়তে সময় পাচ্ছি না এ ইন্টারনেট এর জন্যই। বই এটা একাডেমিক হোক আর সাধারন গল্পের বই হোক অনেক কাজের। বই পড়ে আমরা ধারনা নিতে পারি। আর ইন্টারনেট আমাদের ঐ ধারনা কে অনেক বড় করতে পারে। আমাদের জ্ঞান কে বিস্তৃত করতে পারে। ইন্টারনেট একটা বিষয় সম্পর্কে রিচার্সের কাজে সাহায্য করে। কিন্তু যদি কারো একটা বিষয় সম্পর্কে কোন সাধারন জ্ঞান না থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ক্ষমতা কাজে লাগাতে পারবে না। কারন একটা বিষয় সম্পর্কে সার্চ দিলে হাজার তথ্য এসে হাজির হবে। তখন সে বুঝতে পারবে না সে কোথায় থেকে শুরু করবে। এক্ষেত্রে বই অনেক এগিয়ে। বই গুলো তৈরি হয় কাউকে একটি বিষয়ে ধারনা দিতে। জ্ঞান তৈরি করতে। আর ইন্টারনেট ছাড়া এখন শুধু বই পড়েই সব জানা সম্ভব না। দুটিই এক সাথে দরকার। শুধু বই এবং শুধু ইন্টারনেট নয়… আবার অনলাইনে ফ্রীতে অনেক গুলো ই বুক পাওয়া যায়। সে গুলো সংগ্রহ করতে ও ইন্টারনেট লাগে। আমাদের ক্ষেত্রে এখন যা হয় তা হচ্ছে অনেক গুলো বই ডাউনলোড করে পিসিতে পেলে রাখা। কত গুলো পড়বো? কিন্তু যদি একটি বই কিনে নিয়ে আসি তা একবার হলেও পড়া হবে।। তাই আমার মনে হয় বই মানে বই। আর কিছু নয়।

4 thoughts on “বই পড়া এবং আমার অভিমত – ইন্টারনেট নাকি বই?”

  1. বই-ই মানুষের জীবনের সবচেয়ে কাছের বন্ধু . . . .

    নিঃসঙ্গতার সাথী বই. . . .

    একটি ভাল বই অনেক কিছু দিতে পারে. . . . .

    Reply
  2. একদম সত্যি কথা, আমি এতগুলা PDF বই ডাউনলোড করে রাখছি পরতে মনে থাকেনা আর যদি টাকা দিয়ে কিনতাম তাহলে সেটা একবারের জন্য হলেও পরতাম।

    বই পরতে আমার অনেক ভালো লাগে বিশেষ করে ইতিহাসের বই আর প্রোগ্রামিং এর বই গুলি ভালো লাগে

    ভালো লাগে নতুন বিষয়ে জানতে।

    Reply

Leave a Reply