ফ্রিল্যান্সিং এ ভালো করা এবং তা ধরে রাখা…

ফ্রিল্যান্সিং এ ভালো করা এবং ভাল করা ধরে রাখার জন্য তিনটে জিনিস অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সেগুলো হচ্ছেঃ

# Skill / দক্ষতা
# Communication / যোগাযোগ
# Commitment / অঙ্গীকার / প্রজেক্ট কমপ্লিট করা

স্কিল না থাকলে ফ্রিল্যান্সিং শুর করাই ঠিক না। অন্তত একটা বিষয় নিজেকে দক্ষ করা প্রয়োজন, কাজ শুরু আগে।কাজ শুরু করার পর কাজে পাশা পাশি নিজের স্কিল বাড়াতে হবে। একটা বিষয়ে কাজ করতে করতে নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে। স্কিল না বাড়ালে সারা জীবন একই কাজ করে যেতে হবে। বোরিং! আবার শুরুতে প্রতি প্রজেক্টে যেমন পেমেন্ট পাওয়া যেত, স্কিল না বাড়ালে একই রকম পেমেন্ট পাওয়া যাবে। কোনদিন বাড়বে না। স্কিল বাড়ানো খুবি গুরুত্বপূর্ণ।

ক্লায়েন্টের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ, কাজের আপডেট, ক্লায়েন্ট কি চাচ্ছে এসব খুবি গুরুত্বপূর্ণ। ভালো হয় যদি সাথে সাথে ক্লায়েন্টের রিপ্লাই দেওয়া যায়।সাধারনত স্কাইপ এবং মেইলেই বেশি যোগাযোগ হয়। আবার যদি মার্কেটপ্লেসে কাজ করা হয়, তাহলে মার্কেটপ্লেসের নিজস্ব মেসেজ সিস্টেমে ক্লায়েন্টরা যোগাযোগ করে।

কাজের জন্য এপ্লাই করার পর যদি ক্লায়েন্ট কোন মেসেজ দেয়, ঐ মেসেজের সাথে উত্তর দিতে পারলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কাজটা সহজেই পাওয়া যায়। দ্রুত যোগাযোগের জন্য ইমেল নটিফায়ার ব্যবহার করা যেতে পারে। ক্রোম ব্রাউজারে ডেস্কটপ নটিফিকেশন রয়েছে ইমেইলের জন্য। ঐটা অন করে দিলে ইমেইল আসলে সাথে সাথেই নটিফিকেশন দিবে। অথবা Checker Plus for Gmail এ এক্সটেনশনটা ব্যবহার করা যেতে পারে [ http://jasonsavard.com/checkerPlusForGmail ]। ক্লায়েন্ট যদি কোন আপডেট চায়, তা দ্রুত দেওয়ার চেষ্টা করলে সম্পর্ক ভালো থাকে। পরবর্তিতে নতুন প্রজেক্টের জন্য হায়ার করার সম্ভাবনা থাকে।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে অঙ্গীকার। ক্লায়েন্টে কাজ দিলে তা যে কোন ভাবেই শেষ করা। অর্ধেক করে রেখে না দেওয়া। হয়তো দেখা যাবে শুরুতে কাজটা যত সহজ মনে হয়েছে, শুরু করার পর দেখা যাচ্ছে তা আসলে তত সহজ না। কঠিন। কঠিন বলে দেখা যায় অনেক ফ্রিল্যান্সার কাজ কমপ্লিট করে না। যেহেতু ক্লায়েন্ট আপনার উপর নির্ভর করে আপনাকে কাজটি দিয়েছে, আপনার উচিত কাজটি যে কোন ভাবেই শেষ করা। নিজের ক্ষতি হলেও। হয়তো মনে হবে নিজের অনেক ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে, আসলে তা হবে না। ক্লায়েন্ট যদি বুঝতে পারে কাজটি কঠিন ছিল, তাহলে আপনাদের মাঝে একটা ভালো সম্পর্ক তৈরি হবে। এবং পরবর্তীতে ক্লায়েন্ট আপনার উপর নির্ভর করে অনেক কাজ দেওয়া সাহস পাবে। যা আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারের জন্য ভালোই হবে।

 

ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে করবেন, ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কি কি কাজ শিখতে হয়, তা জানতে চাইলে এই লেখাটি পড়তে পারেন।

6 thoughts on “ফ্রিল্যান্সিং এ ভালো করা এবং তা ধরে রাখা…”

  1. দারুণ লেখা এবং কাজের। অনেক উপাকারে আসবে আসা করে।

    Reply
  2. ভালো লাগলো আপনার লেখাটা পড়ে। বাংলাদেশে এখন ভুঁড়ি ভুঁড়ি ফ্রিল্যান্সার জন্ম নিচ্ছে। না আছে তাদের কোন দক্ষতা, না আছে কোন প্রজেক্ট কমপ্লিট করা ক্ষমতা। সবাই মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট করে বসে বসে খালি বিড করে।

    Reply
  3. সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে অঙ্গীকার। ক্লায়েন্টে কাজ দিলে তা যে কোন ভাবেই শেষ করা। অর্ধেক করে রেখে না দেওয়া। সুন্দর বলেছেন……।

    Reply
  4. আপনার পোষ্টটি অনেক ভাল লেগেছে। আমার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারের প্রথম কাজের অভিজ্ঞতা আমি আমার নিজের ব্লগে কিছুদিন প্রকাশ করেছি। চাইলে দেখতে পারেনঃ http://niravasif.com/first-online-project-experience/

    Reply
  5. ফ্রীলেন্সিং টা আসলে কাদের জন্য??? ফ্রীলেন্সিং এর কারণে একাডেমিক পড়ালেখার কোনো ক্ষতি হবে কিনা???? পরামর্শ দিন।প্লিজ

    Reply

Leave a Reply