প্রোগ্রামিং শেখার শুরতে…

প্রোগ্রামিং শেখার শুরু দিকে অনেকেই বিশাল বই দেখে হয়তো ভয় পেয়ে যায়। এত বিশাল বই, এত্ত কিছু শিখতে হবে। এত কিছু জানতে হবে, ইত্যাদি ইত্যাদি। বই গুলো বিশাল হওয়ার কারণ একটু পরেই বলছি।
তবে জিনিসটা অবশ্যই এমন নয়। বিশাল বই পড়ে কিছুই মনে রাখতে হয় না। মুখস্ত করতে হয় না কিছু। শুধু জানতে হয় কিভাবে প্রোগ্রাম লিখতে হয়। কোন সিনট্যাক্স মুখস্ত করতে হয় না। শুধু জানতে হয় কিভাবে লিখে।
প্রোগ্রামিং হচ্ছে লজিক। আমরা বাস্তব জীবনে যেমন লজিক খাটাই, তেমন লজিক। এগুলো মুখস্ত করতে হয় না। শুধু গুছিয়ে চিন্তা করতে হয়। শুধু জানতে হয় কিভাবে গুছিয়ে চিন্তা করা যায়। একটা উদাহরণ দি, যেমন “যদি আজ শুক্রবার হয়, স্কুলে যেতে হবে না। যদি শুক্রবার না হয়, স্কুলে যেতে হবে।” এ জিনিসটা আমরা ঠিক যে ভাবে চিন্তা করেছি, প্রোগ্রামিং এ ঠিক এমনি।এটাকে যদি আমরা সুডো কোডে লিখি তাহলেঃ

if day=friday
no school, do furti.
else
go to schlool.

এতই সহজ প্রোগ্রামিং।
বই গুলো বিশাল হয় কারণ ঐখানে প্রোগ্রামিং করে কি কি করা যায়, এমন অনেক গুলো উদারহণ দেওয়া থাকে। দেওয়া থাকে অনেক লাইব্রেরীর ব্যবহার প্রনালী। তো এসব শুধু একবার পড়লেই হয়। না পড়লেও সমস্যা হয় না। যদি পড়া থাকে, তাহলে প্রোগ্রাম লিখতে দারুণ কাজে দেয়।যেহেতু আমাদের কোড মুখস্ত করতে হয় না, আমরা বই এর ঐ অংশ থেকে দেখে দেখেই লিখে ফেলতে পারি।
আর কোড গুলো লেখা হয় IDE ব্যবহার করে। উপরে আমরা if else দিয়ে একটা প্রোগ্রাম লিখছি। IDE গুলো i লেখার সাথে সাথেই বুঝে যায় আমরা কি লিখতে যাচ্ছি, বাকি কোড গুলো অটোমেটিক লেখা হয়ে যায়। সত্যিই অসাধারণ। শুধু একবার শুরু করতে হবে। কিছু সময় ব্যয় করতে হবে। এই যা।
প্রোগ্রামিং শেখার জন্য বই এর দুই একটা চ্যাপ্টার ঠিক মত পড়লেই হয়, সিনট্যাক্স গুলো জানলেই হয়। বাকিটা যে যার মত করে লিখে ফেলতে পারে। নিজ নিজ ক্রিয়েটিভিটি প্রয়োগ করে। আর আমাদের সবার ক্রিয়েটিভিটি ইউনিক।কারোটা দিয়ে কারোটা রিপ্লেস করা যায় না। আমরা অনেকেই জানি না আমরা কতটা ক্রিয়েটিভ। আর তা জানতে হয়, আর জানার জন্য চোখ বন্ধ করে না থেকে একটু চারপাশ তাকাতে হয়।
প্রোগ্রামিং এর সবচেয়ে মজার পার্ট বলি। একটা বাস্তব উদাহরণ দিয়ে বলি। ধরে নিচ্ছি আমরা পৃথিবীর সবচেয়ে উচু টাওয়ারটা বানাবো। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে উচু বিল্ডিং কোনটা? সম্ভবত Burj Khalifa, তাই না? ১৬৩টি ফ্লোর রয়েছে। আমরা চাচ্ছি এর থেকেও বিশাল একটা বিল্ডিং বানাতে, যার মধ্যে ২০০টি ফ্লোর থাকবে। তো বাস্তবে জিনিসটা বানাতে আমাদের নতুন করে গ্রাউন্ড লেভেল থেকে শুরু করতে হবে। অনেক বছর লেগে যাবে। প্রোগ্রামিং এ কেউ যদি ১৬৩ তলা সমান একটা প্রোগ্রাম বানিয়ে রাখে, আমরা চাচ্ছি ২০০ তলা সমান একটা প্রোগ্রাম বানাতে, তখন আমরা ১৬৩ তলা থেকেই কাজ শুরু করতে পারব। শুরু থেকে কিছুই করতে হবে না। কত সময় বেঁচে যাচ্ছে। তৈরি হচ্ছে দারুণ কিছু। চমৎকার না?
প্রোগ্রামিং জানা সত্যিই চমৎকার। নতুন এবং অসম্ভব সুন্দর একটা জগত। স্বাগতম সবাইকে

6 thoughts on “প্রোগ্রামিং শেখার শুরতে…”

  1. ভাইয়া আমি প্রোগ্রামিং জগতে নতুন, সি প্রোগ্রামিং শেখার মাধ্যমেই আমার প্রোগ্রামিং জীবন শুরু করতে চাই। আমার এই লেখাটি পড়ে মনে হলো প্রোগ্রামিং আসলেই সহজ। তাছাড়া আমি কয়েকটি বই পড়েছি প্রোগ্রামিং এর উপরে। আপনার কথাগুলো আসলেই সত্যি। আপনার ব্লগ থেকে সি প্রোগ্রামিং শেখার চেষ্টা করছি। দেখাযাক কতদূর কি হয় …

    Reply
  2. জাকির ভাই, আপনার লেখা যারা পড়বে, তারা বড় না হয়ে পারবেনা। আপনার লেখা সত্যি সত্যি প্রেরণা দায়ক।

    Reply
  3. জাকির ভাই, আপনার সাথে যোগাযোগের জন্য আপনার মোবাইল নম্বরটা যদি পেতাম, মনটা ভরে যেত। আমার নম্বর 01721021972. ছাইফুল হক।

    Reply
  4. জাকির ভাই, আপনার লেখা যারা পড়বে এবং অনুসরণ করবে, তারা বড় না হয়ে পারবেনা।

    Reply

Leave a Reply