প্যাশন ও বাস্তবতা

যারাই সফল হয়, তারা সবাই একটাই উপদেশ দেয়, Follow your passion.

নিজের কল্পনাতে বিচরণ খুব সহজ। নিজের প্যাশন নিয়ে ভাবা সহজ। কল্পনাতে সব কিছুই সহজ মনে হয়। কল্পনাতে সফলতার রাস্তাও সহজ। সেখানে কোন জ্যাম থাকে না, কোন VIP এর জন্য রাস্তা বন্ধ থাকে না, নিজেই VIP। কোন বাঁধা থাকে না, সব কিছুই স্মুথ। বাস্তবতা আসলেই কঠিন। নিজের প্যাশন নিয়ে কাজ করা কঠিন। যারা সফল হয়, যাদের গল্প আমরা শুনি, আমরা শুধু একটা অংশই দেখি, একটা অংশই শুনি।

সফল হতে হলে প্যাশন থাকতে হয়। এটা সবাই বলে। এটা সত্যি। প্যাশন যে একটা বিষয়েই থাকবে এমন না। একজন মানুষের অনেক গুলো বিষয়ে প্যাশন থাকতে পারে। নিজের পছন্দের বিষয় গুলো থেকে কোন বিষয়টা আপনার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে, তা খুঁজে নিতে পারেন। এরপর সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে পারেন আপনার স্বপ্ন পূরণের জন্য।

নিজের পছন্দের বিষয়ে কাজ করার জন্য মাঝে মাঝে অপছন্দের কাজ ও করতে হয়। আপনি দারুণ একটা প্রজেক্ট করেছেন। মানুষকে যদি না জানান, মানুষ জানবে না। আর না জানলে আপনার প্রজেক্ট অন্য কারো উপকারে আসবে না। মানুষকে জানানোর জন্য আপনাকে মানুষের সাথে মিশতে হতে পারে। কিন্তু হয়তো মানুষের সাথে মেশা আপনি পছন্দ করেন না।

মানুষ সফলতার বিচার করে টাকা দিয়ে। আপনি যত ব্রিলিয়ান্টই হোন না কেনো, আপনার যত ট্যালেন্টই থাকুক না কেনো, তা যদি মানিটাইজেশন করা না যায়, তাহলে মানুষ আপনাকে মূল্যায়ন করবে না। মানুষের মূল্যায়নের কোন দরকার নেই আপনি বলতে পারেন। কিন্তু কোন না কোন ভাবে আপনাকে আসলে এখানে ফিরে আসতে হবে। প্রতিটা পদেই আমাদের টাকার দরকার হয়, তাই আমরা আসলে এই চক্র থেকে বের হতে পারব না। আর এ সমস্যা সমাধান করার জন্য যে কোন তিনটে প্যাশন খুঁজে নিতে পারেন। একটা হচ্ছে টাকা রুজি করার জন্য। একটা আপনাকে স্বাস্থ্যবান রাখার জন্য। আর একটা খুঁজে নিতে পারেন ক্রিয়েটিভ কিছু করার জন্য।

আপনার ক্রিয়েটিভ প্যাশনে হয়তো টাকার দরকার হবে। তখন যে প্যাশন থেকে টাকা আসবে, তা ফুয়েলের মত কাজ করবে। আবার প্যাশন এবং টাকার পেছনে ছুটতে ছুটতে শরীরের কথা ভুলে গেলে চলবে না। এটা খুবি গুরুও্বপূর্ণ। এটা খারাপ হবে অন্য কোন কিছুই করা যাবে না। তাই শারীরিক ব্যায়াম, হাঁটাহাঁটি বা সাইক্লিং এর মত কিছু একটা খুঁজে নিতে পারেন। শিখতে পারেন কারাতে বা এমন কিছু। শুভ কামনা আপনার জন্য 🙂

4 thoughts on “প্যাশন ও বাস্তবতা”

Leave a Reply