ছুটি

আমি পছন্দ করি ঊর্মিকে। পছন্দ করলে কেমন একটা আগ্রহ কাজ করে। কথা বলতে ইচ্ছে করে। সব কিছু জানতে ইচ্ছে করে। এই জানতে ইচ্ছে করা থেকে অনেক গুলো প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে।
মেয়েদের হয়তো sixth sense অনেক প্রবল। কি সহজেই বুজতে পারে কে তাকে পছন্দ করে। ঊর্মিও হয়তো বুঝে ফেলছে আমি তাকে পছন্দ করি। আর এই বুঝে ফেলার কারণে অন্য সবার সাথে যে স্বাভাবিক আচরণ করলেও আমাকে এড়িয়ে চলে। অথচ আমি তার থেকে আশা করি স্বাভাবিকের থেকে একটু বেশি।

হয়তো ঊর্মি পছন্দ করে অন্য কাউকে। হয়তো আমাকে তার একটুও পছন্দ না। ক্যাম্পাসে দেখা হলে কথা বলতে চেষ্টা করি। কত গুলো কথা মনেই থেকে যায়, মুখ দিয়ে বের হয় না। যে কয়টা বের হয়, সে গুলোর উত্তর ঊর্মি হ্যাঁ, না তেই দিয়ে দেয়। কথা এগোয় না।

বাসায় ফিরলে ফেসবুকে এটা ওটা নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করি। সব গুলো কথার উত্তরই দুই তিন শব্দের মধ্যেই দিয়ে দেয়। রাতের বেলা শুভ রাত্রি মেসেজ দিয়ে ঘুমুতে যাই। সকালে উঠে ইনবক্সে শুভ সকাল লেখা একটা মেসেজ আশা করি, ঊর্মির কাছ থেকে। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে হতাশ হতে হয়। মাঝে মাঝে এসব নিয়ে মন অনেক খারাপ হয়ে যায়। শান্তনা আশা করি। আমাকে শান্তনা দেওয়ার জন্য একটি মেয়ে অপেক্ষা করে বসে থাকে। ইভা, ইভা মেয়েটি।

অয়ন বলে কি সুন্দর করেই না ডাকে আমাকে। ঠিক মত খেয়েছি কিনা, ঠিক মত ঘুমিয়েছি কিনা, সব কিছুর তদারকি করে। অথচ এসব কিছু আমি আশা করি ঊর্মির কাছ থেকে। হয়তো ইভা মেয়েটি আমাকে পছন্দ করে। আমাকে ভালবাসতে চায়। আমি যেমন আশা করি ঊর্মির কাছ থেকে, ইভা মেয়েটি আমার কাছে থেকে তেমন কিছু আশা করে। ইভা নামের এই মেয়েটিকে আমি একটুও কষ্ট দিতে চাই না। কিন্তু সে হয়তো কষ্ট পায়। আর ঊর্মিকেই আমার ভালো লাগতে যাবে কেনো? সব কিছু কেমন অগোছালো, এলোমেলো।

আমি চাই ভালোবাসা জয় করতে। অথচ যেমন চাই, তেমন কিছুই হয় না। সব কিছুর সাথেই কেমন মানিয়ে চলতে হয়। মানিয়ে চলতে চলতে মাঝে মাঝে হাঁপ ছেড়ে উঠি। তখন মাঝে মাঝে আমিও ছুটি চাই, ভালোলাগা খারাপ লাগার এই প্যাঁচ থেকে। সবাই কি চায় একটু ছুটি?

Leave a Reply