ক্রিয়েটিভিটি এবং মিনিমালিজম

ক্রিয়েটিভ মানুষদের যত সিম্পল থাকা যায়, তত ভালো। কমপ্লেক্সিটি আসলে অন্যান্য বিষয় নিয়ে চিন্তা করতেই সময় গুলো পার হয়ে যায়, ভালো কিছু নিয়ে চিন্তা করার সুযোগ কমে যায়।
আমাদের মস্তিষ্কেরও কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে, আমরা প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ সিদ্ধান্ত নিতে পারি। নিয়মিত যে কাজ গুলো করতেই হবে, সে গুলো করতে গেলেই অনেক গুলো সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলতে হয়। এরপর জীবন যাত্রা কমপ্লেক্স হলে স্বাভাবিক থেকে আরো বেশি সিদ্ধান্ত নেওয়ার দরকার পড়ে। এ জন্যই মিনিমালিস্ট হওয়া দরকার।

সবাই ইতিমধ্যে জানি যে বিখ্যাত অনেক ব্যাক্তি সব সময় একই রকম জামাকাপড় পরে, যেমন মার্ক জাকারবার্গ। একই রকম টিসার্ট এবং একই রকম জিন্স। কি রঙের জামা পরব, কি প্যান্ট পরব ইত্যাদি চিন্তা থেকে নিজেকে মুক্ত করার জন্যই এমন। অথচ আমাদের অনেক রঙ বেরঙ এর জামাকাপড় থাকে। প্রতিদিনই কি পরব, তা ভাবতে ভাবতেই অনেক্ষণ কাটিয়ে দেই। এটা শুধু মাত্র একটা অংশ। আরো কত গুলো বাড়তি চিন্তা আমরা নিয়মিত করতে হয়।

সমস্যা হচ্ছে আমাদের সোসাইটি চায় না আমরা মিনিমালিস্ট হই। কোন কিছু আমার দরকার নেই বা কম দরকার, তা না থাকলে বলবে নেই কেনো। এ জন্যই আমরা প্রতিনিয়ত অদরকারী অনেক কিছু দিয়ে আমাদের চারপাশ পরিপূর্ণ রাখি। এসব ম্যান্টেনেন্স করতে আমাদের জীবন থেকে কিছু সময় চলে যায়।

আমার এতটুকু মিনিমালিস্ট হতে ইচ্ছে করে যেন আমার প্রয়জনীয় সব কিছু আমার ব্যাকপ্যাকেই রাখতে পারি। যে কোন সময়ই যে কোন দিকে মুভ করতে পারি। সমস্যা হচ্ছে দিন দিন নিজের ব্যাকপ্যাকটাকে ভারি করে তুলছি। প্রতিনিয়তই মুভ করার ক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছি। পাখির মত হতে চেয়ে গাছের মত হয়ে যাচ্ছি।

1 thought on “ক্রিয়েটিভিটি এবং মিনিমালিজম”

Leave a Reply