কোন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ শিখব

কেন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ শিখব, তা নিয়ে অনেক গুলো লেখা লিখেছি। এবার লিখি কোন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ শিখব। অনেক গুলো প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ রয়েছে। কয়েক হাজার তো হবেই। তাই শুরুতে শেখার জন্য একটা প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ পছন্দ করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

কারো স্বপ্ন যদি গেম তৈরি করা, তাকে যদি কেউ পিএইচপি শিখতে বলে, তার শেখাটা তেমন একটা কাজে লাগবে না। তার কাছে প্রোগ্রামিং বোরিং লাগবে। তেমনি কেউ যদি ফেসবুকের মত একটা ওয়েব সাইট তৈরি করতে চায়, তাকে যদি C++ শিখতে বলে, তার কাছেও প্রোগ্রামিংটা বোরিং লাগবে। অথচ প্রোগ্রামিং যথেষ্ট মজার। আমি একটা কিছু তৈরি করতে চাই, তা তৈরি করতে পারছি, তৈরি করে সবাইকে দেখাতে পারছি, ভালো কিছু হলে সবাই ঐটা ব্যবহার করে, এসব থেকে মজার কি হতে পারে, আমার জানা নেই।

প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ যেহেতু অনেক গুলো রয়েছে, আবার একটি কাজ একাধিক প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করে করা যায়, তাই উচিত হচ্ছে নিজে ভবিষ্যৎ এ কোন সেক্টরে কাজ করবে, তা ঠিক করে একটা প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ শেখা।
যেমন কেউ যদি ডেস্কটপ সফটওয়ার তৈরি করতে চায়, তাহলে জাভা বা এরকম ল্যাঙ্গুয়েজ গুলো শিখতে পারে।

কেউ যদি গেম তৈরি করতে চায়, তার উচিত C++ বা গেম তৈরিতে সবচেয়ে ভালো ল্যাঙ্গুয়েজ গুলো থেকে একটা নিয়ে শুরু করা।

কেউ যদি নেক্সট ফেসবুক বা গুগলের মত কোন ওয়েব সাইট তৈরি করতে চায়, যে হয়তো শুরু করতে পারে পিএইচপি, ASP বা এমন সার্ভার সাইড প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ দিয়ে।

মোবাইল অ্যাপ, যেমন অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ তৈরি করতে চাইলে শিখতে পারেন জাভা। অ্যাপলের আইফোন বা আইপ্যাডের জন্য অ্যাপ তৈরি করতে চাইলে শিখতে পারেন সুইফট। ইত্যাদি।

কারো যদি যথেষ্ঠ সাহস থাকে, সে শুরু করতে পারে Assembly দিয়ে. 😉
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সিস্টেম তৈরি করতে চাইলে Prolog বা এমন ল্যাঙ্গুয়েজ গুলোর একটা দিয়ে শুরু করা যেতে পারেন।
কারো যদি গণিত খুব ভালো লাগে, তার উচিত হবে MATLAB নিয়ে কাজ করা।

ইন্টারনেটে সব কিছুই হচ্ছে ডেটা। ডেটা নিয়ে কাজ যারা করে, তাদের বলে ডেটা সাইন্টিস্ট। ডেটা সাইন্টিস্ট হতে ইচ্ছে করলে Python বা R শিখা যেতে পারে।

এমন সব কাজের জন্যই আলাদা আলাদা প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ রয়েছে। আবার একই প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ দিয়ে একাদিক কাজ করা যায়। যেমন জাভা দিয়ে একই সাথে ডেস্কটপ সফটওয়ার, মোবাইল অ্যাপ, গেম সবই তৈরি করা যায়। পাইথন দিয়ে একই সাথে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সিস্টেম, ডেটা সাইন্স, ওয়েব সাইট তৈরি, গেম তৈরি অনেক কিছুই করা যায়।

আমাদের কথা বলার ভাষা আর প্রোগ্রামিং ভাষা কিন্তু এক রকম না। আমরা বাংলা শিখলে বাংলাতেই কথা বলতে পারব। ইংরেজী শিখলে ইংরেজীতে। কিন্তু প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ একটা শিখলে অন্যটা কিভাবে কাজ করে, অন্যটা কিভাবে সহজেই শেখা যাবে, এসব বুঝে ফেলতে পারব। একটা শিখলে অন্যটাতে সহজেই কাজ করা যাবে। তাই যদি কোনটাই পছন্দ করতে না পারেন, ভবিষ্যৎ এ কি নিয়ে কাজ করবেন, তা সম্পর্কে এখনো ধারণা তেমন একটা নেই। তাহলে ভালো হয় যে কোন একটা দিয়ে শুরু করা। শুরু করার জন্য সি বা পাইথন ভালো হবে। আবার সি শিখলে অন্য যে কোন ল্যাংগুয়েজই আপনার কাছে সহজ হয়ে যাবে। অনেক গুলো অপশন। নিজের স্বপ্ন পূরণের জন্য যে কোন একটা পছন্দ করে শেখা শুরু করুন। শুভ কামনা 🙂

1 thought on “কোন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ শিখব”

Leave a Reply