ইন্টারনেটে নিজের ক্যারিয়ার গঠন

ইন্টারনেটে কাজ করে নিজের ক্যারিয়ার গঠন করা যায়, এটা প্রথম প্রথম যারা শুনে তারা আগ্রহ পায়। তারপর চিন্তা করে আমার যেহেতু কম্পিউটার আর ইন্টারনেট কানেকশন রয়েছে, আমিও পারব।
টাকা সবারই দরকার হয়, চলার জন্য। তো তাদের প্রধাণ লক্ষ্য হয় টাকার জন্য কাজ করা। যেহেতু ভালো কোন আইডিয়া নেই, তখন প্রশ্ন, সহজে কি শেখা যায়। সব চেয়ে কম সময়ের মধ্যে কি শেখা যায়। এবং আরেকটা গুরুত্ত্বপূর্ণ প্রশ্ন, কোনটা শিখলে মাসে ভালো একটা ইনকাম করা যায়।
দুইটা জিনিস এক সাথে ফুলফিল হয় না। যেটা সহজ এবং কম সহজে শেখা যায়, তা তো সবাই শিখতে পারে। তা দিয়ে মাসে ভালো একটা ইনকাম করা যায় না। এ সহজ সমীকরণটি সবার বুঝা উচিত!
সহজ কিছু শিখলে আপনাকে বেশি পরিশ্রম করতে হবে, আজীবন। যতদিন ঐ সহজ বিষয়টি নিয়ে কাজ করবেন। সে তুলনায় আয়ের পরিমান ও কম হবে। আবার মোটামুটি কঠিন কিছু শিখে নিতে বেশি সময় লাগবে। কিন্তু তা কাজে লাগালে অল্প সময় বেশি আয় করা যাবে। একটার ক্ষেত্রে শুরুতে সময় বেশি দিতে হবে, অন্যটায় পরে সময় বেশি দিতে হবে। পছন্দ করতে হবে আপনাকে। যদিও একজনের কাছে একটা বিষয় সহজ লাগে।
আবার সহজ কিছু শিখতে শিখতে আস্তে আস্তে সময় নিয়ে ভালো কিছু ও শেখা যায়। কোন শেখাই ফেলে দেওয়ার মত না। শিখতে হবে। নিয়মিত।
আরকটা দরকারী কথা হচ্ছে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া। কম্পিউটারে যারা কাজ করে, তাদের শুধু দেখা যায় মাউস টিপে আর কীবোর্ডে খট খট করে। তো এই মাউস আর কীবোর্ডটা টিপাটিপি করা শিখতে হবে। এগুলো প্র্যাকটিসের ব্যাপার। একদিন দেখলাম, আর আমি সব শিখে ফেললাম, এমন নয়। আস্তে আস্তে প্র্যাকটিস করতে করতেই শেখা যায়। কোন কিছু পড়ার পাশা পাশি তা নিজে নিজে প্র্যাকটিস করতে হয়। কারণ কম্পিউটারের সব কাজই মোটামুটি প্র্যাকটিকেল।
আরো বেশি গুরুত্ত্বপূর্ণ হচ্ছে লেগে থাকা। যেটা শুরু করা হয়েছে, তার শেষ দেখে ছাড়া। যেমন অনলাইনে নিজের ক্যারিয়ার গড়া যায়। আমাকেও অনলাইনে ক্যারিয়ার গড়তে হবে। দুই দিন চেষ্টা করেছেন, তৃতীয় দিন মাথা ব্যাথা করে, চতুর্থ দিন আমার দ্বারা হবে না বলে ছেড়ে দিয়েছেন, এটা করলে হবে না। হয়তো কয়েক দিন পর আবার নিজের মনবল ঠিক করে আবার শুরু করেছে সব কিছু। যদি লেগে না থেকে আবার ছেড়ে দিয়ে থাকেন, বোকামি করবেন। আমাদের এই পৃথিবীতে সবচেয়ে জ্ঞানী বলে মানে আইনস্টাইনকে। তো তিনি বলেছেন তিনি খুব তীক্ষ্ণধী নন, তবে একটি সমস্যা নিয়ে দীর্ঘক্ষণ লেগে থাকতে পারেন। বুদ্ধি থেকে আগ্রহ বেশি গুরুত্ত্বপূর্ণ। বুদ্ধি থেকে লেগে থাকা বেশি গুরুত্ত্বপূর্ণ।
কোনটা শিখলে বেশি আয় করা যাবে, এ প্রশ্নের উত্তর খোঁজার আগে প্রশ্ন করুণ কোনটা আমার ভালো লাগবে। কোনটা আমি সহজেই বুঝতে পারি। দরকার হলে একটু রিসার্চ মিসার্চ করুন। ঘাটা ঘাটি করুণ। একটু সময় ব্যয় করুণ নিজের পছন্দের বিষয় খোঁজার জন্য। পেয়ে গেলে লেগে পড়ুন, শেখার জন্য, কাজ করার জন্য এবং পৃথিবীকে দেখিয়ে দেওয়ার জন্য, আমিও পারি। যদি এমন বিষয় আপনি শিখলেন, যা আপনার ভালো লাগে না, একদিন হয়তো ঠিকই আয় করতে পারবেন, তবে বোরিং লাগবে। বার বার মনে হবে ছেড়ে দি। তো ভবিষৎ এর চিন্তা করে এখনই সঠিক সিদ্ধান্ত নিন। কিভাবে বেশি আয় করা যাবে এ প্রশ্নের উত্তর না খুঁজে শিখতে থাকুন। আয় নিয়ে একটুও চিন্তা করতে হবে না। আপনি যতটুকু আয় করার আশা করেন, তার থেকেও বেশি করতে পারবেন।

4 thoughts on “ইন্টারনেটে নিজের ক্যারিয়ার গঠন”

Leave a Reply