আগাছা পরগাছা

ধান খেতে যদি গম গাছ উঠে তাহলে সে গুলোকে উপড়ে ফেলা হয় আগাছা হিসেবে। আবার গম খেতে যদি ধান হয় সে গুলোকেও উপড়ে পেলা হয় আগাছা হিসেবে। 
কিছু কিছু ক্ষেত্রে ধান খেতে যদি ভিন্ন প্রজাতির ধান গাছ জন্মনেয় সেগুলোকেও খুজে খুজে উপড়ে ফেলা হয়। এটা আমি ও করতাম। করতে হত। কারন না করলে ধানের থেকে যদি বীজ নেওয়া হয় তাহলে ভালো হবে না। আবার ভিন্ন প্রজাতির ধান হলেও তার চাল/ভাত দেখতে একই হত না। মিশ্র কিছুই ভালো না। 
যদি অনেক গুলো সাধু মানুষ থাকে কোথায়ও, সেখানে কোন খারাপ লোক থাকতে পারে না। হয় ঐ খারাপ লোকটা ভালো হয়ে যায়, অথবা ঐ জায়গা থেকে চলে যায়। কারন ঐ খারাপ লোকটা হচ্ছে আগাছা। 
আবার অনেক গুলো খারাপ লোকের মাঝে একজন ভালো মানুষ ও মানায় না। তাকে হয় খারাপ হতে হয় না হয় তাকে ঐ স্থান থেকে চলে যেতে হয় অথবা তাকে উপড়ে পেলা হয় আগাছা হিসেবে। প্রকৃতিও মনে হয় মিশ্রতা পছন্দ করে না। 
আচ্ছা কেন লিখছি এমন একটা লেখা? আমার বয়স যতটুকু হয়েছে এতটুকুর মধ্যে আমি যা দেখেছি তাই লিখছি। লেখাটা হয়তো অনেক ছোট্ট। কিন্তু এটা মিথ্যে না। লেখাটা মিথ্যে হওয়া মানে আমার ২২ বছরের জীবন পুরো মিথ্যে। 
আবার মাঝে মাঝে নিজেকে আগাছা ও মনে হয়। কোথায়ও সুইট করে না। কোথায়ও না। আগাছা হিসেবে বাচতেও ইচ্ছে করে না। বেচে কি হবে? অনেক টাকা? অনেক সম্পদ? ঐ সব হয়ে কি হবে? 

মাঝে মাঝে পরগাছাও মনে হয় নিজেকে। মাঝে মাঝে মনে হয় আমি কাউকে যেন শোষন করে বেঁছে রয়েছি। আচ্ছা আমি কি মিথজীবি হতে পারি না? যতটুকু আমি কারো কাছ থেকে নিব ততটুকুই আবার পেরত দেব, পারলে একটু বেশি। আচ্ছা, প্রানীরা যদি কিছু কিছু ক্ষেত্রে মিথজীবিতা দেখাতে পারে মানুষ কি পারে না? কিছু কিছু প্রানী তো সারাজীবনই মিথজীবি হিসেবে বেছে থাকে, মানুষ কেন আগাছা বা পরগাছা হিসেবে থাকবে? মিথজীবিতা কি দেখাতে পারে না?

Leave a Reply