স্কিল গ্যাপ

ইন্ড্রাস্ট্রিতে যে স্কিল দরকার আর আমরা যে স্কিল অর্জন করছি, তার মধ্যে একটা দূরত্ব কাজ করছে। সাধারণত আমরা ইউনিভার্সিটিতে ৪-৫ বছর পর একটা ডিগ্রি নিয়ে বের হই। এ চার-পাঁচ বছরে পৃথিবী অনেক দূর এগিয়ে যায়। আমরা বলা যায় কিছু আউটডেটেড স্কিল নিয়ে বের হই।

এটা আমাদের দেশেরই সমস্যা না। সারা বিশ্বেরই সমস্যা। সো এ সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা কি করতে পারি? আমরা নিজেকে নিয়মিতি আপডেটেড রাখতে পারি। যে যে স্কিল গুলো দরকার, সে গুলো শিখে নিতে পারি।

আজ যে সব স্কিলের ডিমান্ড সবচেয়ে বেশি, কয়েক বছর পর ঐ সব স্কিলের ডিমান্ড কমে যাবে। নিজেকে ভ্যালুয়েবল করে তুলতে হলে যে সব স্কিলের ডিমান্ড বাড়ছে, সেগুলো শিখে নিতে হবে। এখন হয়তো আপনি জিজ্ঞেস করতে পারে কি কি স্কিল গুলোর ডিমান্ড বাড়ছে? এটা নির্ভর করে আপনার ব্যাকগ্রাউন্ড এর উপর। আমি কম্পিউটার সাইন্স নিয়ে পড়ছি, আমি শুধু এসব নিয়েই জানতে পারব। আপনি যে বিষয় নিয়ে পড়েছেন, আপনার কাজের ক্ষেত্রে নতুন কি কি বিষয় আসছে, এগুলো আপনাকে নিজেকেই জানতে হবে। কিছু টিপস আমি দিতে পারি। যেমন আপনি যদি জব করেন, হয়তো দেখবেন আপনার থেকে কম বয়সী কারো বেতন অনেক বেশি। কারণ? সে এমন কিছু জানে যা আপনি জানেন না। সে এমন কি জানে, তা জানার চেষ্টা করুন। আপনার কাজের ক্ষেত্র রিলেটেড ব্লগ, নিউজ ইত্যাদি পড়তে পারেন। আইডিয়া পাবেন।

হয়তো দেখে থাকবেন রেগুলার জবহোল্ডার থেকে ফ্রিল্যান্সাররা বেশি আয় করে থাকে। এর একটা কারণ হচ্ছে তারা দ্রুত নতুন স্কিল শিখে নেয়। আর আপনি রেগুলার জব করেও ভালো করতে পারবেন যদি আপনার কাজের ক্ষেত্র রিলেটেড নতুন নতুন বিষয় শিখে নিতে পারেন। আর ইন্টারেন্টের কল্যাণে যে কোন কিছুই শেখা অনেক সহজ, তাই না? না শিখতে পারলে নিজেরই ব্যর্থতা।

Leave a Reply