বৃত্তের বাহিরের চিন্তা…

কম্পিউটার যখন দেশে সবার কাছে একটা ট্রেন্ড ওয়ার্ডে পরিনত হয়েছিল, তখন সবাই টাইপিং শিখত। শিখত ওয়ার্ড প্রসেসিং আর এক্সেল এর মত প্রোগ্রাম বা এমন কিছু। যারা এসব শিখেছে, তারা পরবর্তীতে টাইপিস্ট বা ডাটা এন্ট্রি জব করত। প্রথম প্রথম এ জব গুলোর দাম অনেক বেশি ছিল। যেহেতু এটা ট্রেন্ড ছিল, সেহেতু অনেকেই শিখেছে। আস্তে আস্তে এটার ভ্যালু কমে গিয়েছে।

আর ঐ সময় কিছু মানুষ কোন সফটওয়ার না শিখে শিখেছে প্রোগ্রামিং, কোডিং… যা দিয়ে সফটওয়ার তৈরি করা যায়। এখন তারা প্রোগ্রামার।বর্তমানে ট্রেন্ড হচ্ছে কোডিং। সফটওয়ার ডেভেলপমেন্ট, অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট। সবাই শিখছে। আস্তে আস্তে এটার ভ্যালু কমে যাবে। কারণ এক সময় সবাই কোড লিখতে পারবে। নিজের মত করে কিছু তৈরি করে নিতে পারবে।নতুন একটা ফিল্ড তৈরি হচ্ছে। বর্তমানে প্রায় সফটওয়ারই ফাংশন বেইজড। একটা অ্যাপ এ কাজ করতে হবে, তার জন্য কিছু ফাংশন লিখা হয়, এবং অ্যাপ / সফটওয়ারটি ঐ ফাংশন অনুযায়ী কাজ করে।

কিন্তু বর্তমানে আমাদের দরকার ইন্টিলিজেন্ট অ্যাপ, স্মার্ট সিস্টেম । যা বুঝতে পারবে আমাদের কি দরকার, কেন দরকার, কিভাবে দরকার, কি করা যায় ইত্যাদি। ইন্টেলেকচুয়াল সিস্টেম এখনো ও অনেক রয়েছে। কিন্তু তা এখনো সাধারণ মানুষের বাহিরে। বড় বড় কোম্পানি গুলো যে গুলো তৈরি করে,  গুগল, ফেসবুক, মাইক্রোসফট, ওরাকল ইত্যাদি।আর এসব কিছু তৈরি করার জন্য প্রোগ্রামিং এর বাহিরে আরো কিছু স্কিল দরকার আমাদের। Big Data, Machine Learning, Neural Network, Intelligent Environments, Cybernetics ইত্যাদি সহ অনেক কিছু। আবার জীবনের অন্যান্য দরকারে জানা দরকার  Artificial Organ, Adoptable Medicine,  Bioinformatics এবং জেনেটিক্স এর ব্যবহার করে খাদ্য এবং রোগ সমস্যা সমাধান ইত্যাদি সহ ভবিষ্যৎ এর জন্য দরকারী সব বিষয়। আর সে সবই আমাদের এখন শিখতে হবে… তাহলেই আমরা ভবিষৎ এ ভ্যালুয়েবল কিছু করতে পারব।

আচ্ছা, এসব আমরা না করলেও এসব হয়ে যাবে। কিন্তু আমরা পিছিয়ে পড়ব। দরকার একটু এগিয়ে থাকা। এগিয়ে থেকে ভালো কিছু করা 🙂

Leave a Reply