স্টুপিড

ইভানের মন খারাপ। সবাই তাকে নিয়ে হাসা হাসি করে। বোকা বলে। স্টুপিড বলে… অথচ কেন তাকে বোকা বলা হয়, কেন তাকে স্টুপিড বলা হয়, কেন তাকে নিয়ে হাসে, তা কেউ বলে না। জিজ্ঞেস করলে আরো বেশি হাসাহাসি করে।

খেলতে গেলে বল পানিতে পড়ে গেলে কেউ উঠাতে চায় না। সে উঠিয়ে দেয়। তা নিয়েও পরে হাসাহাসি করে..

স্কুলের টিপিনের টাকা বুড়ো ঐ লোকটিকে দিয়ে দিলেও সবাই কেমন করে যেন তাকায়।

মাথায় পেছন দিয়ে টোকা দিয়েও সবাই হাসাহাসি করে।। সবাই কিভাবে এত হাসতে পারে? ইভান যে ব্যথা পায়, কেউ বুঝে না। কেউ না। পিঠের পেছনে “আমি পাগল” স্টিকার লাগিয়ে দিয়েও সবাই হাসাহাসি করে…

কাউকে হেল্প করলে বোকা ছেলে। সত্য কথা বললে বোকা ছেলে। সুন্দর করে কথা বললেও বোকা ছেলে… এসব আর ভালো লাগে না।

সব সময়ই ভাবত অনেক দূরে চলে যাবে সে, যেখানে কেউ তাকে নিয়ে হাসবে না। তাকে বোকা বলবে না।। যেতে ইচ্ছে করত না, মায়ের জন্য। মা অনেক কান্না করবে। আর কেউ কি করবে? বাবাটাও জানি কেমন। সব সময় বকা দেয়। হয়তো একটু খোঁজা খুঁজি করবে। এরপর বলবে, আপদ দূর হয়েছে… কিন্তু মায়ের কথা ভাবলে কেমন করে উঠে… কোন দিনও বকা দেয় নি। মারে নি। সব সময় আদর করে… বাবাকেও বলে, সব ঠিক হয়ে যাবে… সব ঠিক হয়ে যাবে… সব কি ঠিক হয়?

সে একদিন বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলো। স্টেশনে চলে এসেছে। ট্রেন গুলো সব সময় এখানে দিয়ে চলে যায়। অনেক দূরে। সব সময়ই জানতে ইচ্ছে করত কোথায় যায়। আজ জানবে…

Leave a Reply