কোড, প্রজেক্ট বা প্রয়োজনীয় তথ্য গুলো ক্লাউডে রাখি

কম্পিউটার ব্যবহার করলে কোন না কোন দিন ক্র্যাশ করবেই। হার্ড ডিস্ক থেকে একবার না একবার ডাটা সব উধাও হয়ে যাবেই যাবে। যদি না হয়, তাহলে বুঝতে হবে আপনি নিয়মিত কম্পিউটার ব্যবহার করেন না।

হার্ডডিস্ক ক্র্যাশ করলে তো ডেটা গুলোও উধাও হয়ে যাবে। তাই যে সব ডেটা খুব দরকার, সেগুলো ক্লাউডে রাখা বুদ্ধিমানের কাজ। গুগল ড্রাইভ, ড্রপবক্স, ওয়ান ড্রাইভ সহ অনেক সার্ভিস আছে।

ড্রপবক্স খুবি চমৎকার সার্ভিস। ব্যবহার করতে চাইলে, ড্রপবক্স। 

আমরা যারা কোড লিখি, তাদের কাছে এই কোড গুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কোডিং শুরু করার সাথে সাথে কোড গুলো যেন হারিয়ে না যায়, সে দিকে একটু নজর দিলে এক সময় অনেক কাজে দিবে। আজকে লেখা ছোট্ট একটা প্রোগ্রামই আরেকদিন বড় সড় একটা প্রোগ্রাম লিখতে সাহায্য করবে।
ছোট ছোট প্রোগ্রাম, নিজের কোন সখের প্রজেক্ট যখন আমরা শুরু করব, তখন থেকেই গিট বা ভার্সন কন্ট্রোলের ব্যবহার শুরু করব। আপলোড করে রাখব গিটহাব বা বিটবাকেটের মত প্রজেক্ট হোস্টিং সাইট গুলোতে।

গিটহাবে শেয়ার করলে দেখা যাবে নিজের ছোট প্রজেক্ট হয়ত অন্য কারো উপকারে আসলো। আবার জব ইন্টারভিউ দিতে গেলে গিটহাবের মত সাইটের প্রোফাইল CGPA থেকেও বেশি কাজে দেয়। এর উপর নিজের কোড গুলো হারিয়ে যাওয়ার ভয়ও থাকে না। নিজের প্রয়োজনে সব সময় এক জায়গায় কোড গুলো পাওয়া যায়। পৃথিবীর যে কোন জায়গা থেকেই এক্সেস করা যায়।

আমরা কোন প্রজেক্ট শুরু করলে নিজের কাছে সব সময় ঐটা অসম্পুর্ণ মনে হয়। তখন হয়তো মনে হবে আমার এই অসম্পুর্ণ প্রজেক্ট কেন আমি আপলোড করব। এতে দুইটা উপকার হবে। পাবলিকলি আপলোড করার কারনে নিজের মধ্যে একটা স্পিরিট কাজ করবে প্রজেক্টটা সম্পুর্ণ করার। আবার অন্য কারো কাছে নিজের অসম্পুর্ণ প্রজেক্ট ভালো লাগলে সে নিজের প্রয়োজনেই সম্পুর্ণ করবে। ভালো না?

গিট,গিটহাব সম্পর্কে জানতে, গিট ও গিটহাব সম্পর্কে ধারণা

1 thought on “কোড, প্রজেক্ট বা প্রয়োজনীয় তথ্য গুলো ক্লাউডে রাখি”

  1. ‘আমরা কোন প্রজেক্ট শুরু করলে নিজের কাছে সব সময় ঐটা অসম্পুর্ণ মনে হয়। ‘ – এই লেখাটা ভালো লাগলো।

    Reply

Leave a Reply